আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ ভাই ।
আমাদের এলাকায় কিছু হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা আছে যেগুলো ২৫/২৬ রামাদানে ছুটি হয়ে যায়, প্রায় সকল ছাত্র বাড়ি গেলেও একেবারে ইয়াতিম কিছু ছাত্র দেখা যায় মাদ্রাসায়ই থেকে যায়, ঈদের দিনটা তাদের সাধারন দিনের মতোই কাটে, হুজুররাও ছুটিতে বাড়ি যায়, বাবুর্চিও বাড়ি যায়, রান্না করার মতো লোক থাকেনা, হুজুররা না থাকলে কমিটির লোকজনও খোজ নেয় না । ইয়াতিম বাচ্চাগুলো ঈদের দিন ঈদের সালাত পড়ে এসে যা খাবার জোটে তাই খেয়ে মাদ্রাসায়ই সময় কাটায়, এদের জন্য এই বছর ঈদের দিনে একটু ভালো খাবারের ব্যাবস্থা করতে চাই । যদি ফান্ড ম্যানেজ হয় তাহলে সম্ভব ।
এই মেসেজটা সরোবরের একজন লোকাল পার্টনারের দেয়া।
ঈদের দিন আপনার বাসার মেন্যুটা একটু চিন্তা করুন। আর এই বাচ্চাদের কথা ভাবুন। কত কত পরিবার আছে যাদের ঈদের দিনও একটু ভালো খাবার জোটে না।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে। [সহীহ বুখারী, কিতাবুল ঈমান।]
হ্যাঁ, হয়তো আমাদের বাসায় যা রান্না হবে সবই সবার বাসায় হোক এটা করা সম্ভব না।
তবে আমরা তো এবার চাইতেই পারি ঈদের দিনটাতে অন্তত একটা গরীব পরিবারকে গোশত-পোলাও-সেমাই খাওয়াব!
আমরা সরোবর পরিবারের নিজস্ব ফিতরা আদায় করতে গিয়ে প্রতিবার যাকাতুল ফিতরের প্রজেক্ট করি। সাথে আপনারাও অনেকে যোগ দিয়ে থাকেন।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের আগে যাকাতুল ফিতর বা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করাকে ওয়াজিব করেছেন। তিনি সারাজীবন খাবার দিয়ে তা আদায় করেছেন। টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা জায়েজ হলেও আমরা চাই সুন্নাহর কাছাকাছি থাকতে।
এবারের জন্য পরিবারপ্রতি আমরা একটা প্যাকেজ ঠিক করেছি যেখানে থাকবে –
* পোলাও চাল – ২ কেজি
* মুরগি – ১ কেজি+ ওজনের একটি মুরগি
* সেমাই – ৪০০ গ্রাম
* মশলা/চিনি
আমরা ন্যুনতম মাথাপিছু অংক নির্ধারণ করেছি ৭০০ টাকা। সরোবরের মাধ্যমে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হলে আপনার পরিবারে ৪ সদস্য থাকলে ৪ X ৭০০ = ২৮০০ টাকা অন্তত দিতে হবে।
কিন্তু আমরা চাই না আপনারা এই সর্বনিম্ন অংকে যান।
আবূ সাঈদ আল–খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আমরা ছোট-বড়, স্বাধীন- দাস – নির্বিশেষে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে এক সা’আ খাবার অথবা এক সা’আ খেজুর অথবা এক সা’আ যব অথবা এক সা’ পনির অথবা এক সা’ কিশমিশ যাকাতুল ফিতর হিসেবে দান করতাম।
[বুখারী, যাকাত ১৫০৬; মুসলিম, যাকাত ৯৮৫।]
ইসলামি ফাউন্ডেশনের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে এ বছরের জনপ্রতি ফিতরার হিসাবে একজন মানুষ নানা অংকের টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন –
১/ কিশমিশ – ১ হাজার ৯৮০ টাকা
২/ খেজুর – ২ হাজার ৩১০ টাকা
৩/ পনির – ২ হাজার ৮০৫ টাকা
আমরা যেহেতু ঈদের দিন শুধু পোলাও খাই না, সাথে অন্য অনেক ভালোমন্দ খাই তাই আমরা কিশমিশ, খেজুর কিংবা পনির দিয়ে ফিতরা দিতে হলে যত টাকা দিতে হতো সেটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমরা চার সদস্যের একটা পরিবার এক বেলা ভালো রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে যদি ১০ হাজার টাকা খরচ করতে পারি, ওয়াজিব ফিতরা আদায় করতে গিয়েও সেই টাকা দিতে কুন্ঠা বোধ করা উচিত নয়।
আল্লাহ আমাদের সামর্থ্য দিয়েছেন সেই সামর্থ্যের প্রতিবিম্ব আমাদের দেওয়া সাদাকাতুল ফিতরেও থাকা উচিত।
এই প্রজেক্টে আপনারা যত খুশি তত টাকা দিতে পারবেন। শুধু ফর্ম পূরণের সময় উল্লেখ করে দেবেন আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত। মাথাপ্রতি ৭০০ টাকা শেষে যে বাড়তি টাকা আপনারা দেবেন সেটা দিয়েই আমরা মুরগি এবং সেমাই কিনব ইনশা আল্লাহ।
আমরা ইতিমধ্যে কিছু প্রান্তিক, অতি দরিদ্র মুসলিম পরিবার খুঁজে বের করছি।
যে সকল পরিবারকে ফিতরা দেয়া হবে তাদের এলাকাগুলো থেকে প্রদেয় পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে বিতরণ করা হবে ইনশা’আল্লাহ। ওই সময় এত মুরগি এক সাথে পাওয়া যাবে না বিধায় আমরা মুরগি এবং সেমাইয়ের আগাম অর্ডার দিয়ে রাখব ইনশা আল্লাহ।
আমরা চেষ্টা করব এই পুরো প্যাকেজটি ঈদের ঠিক এক দিন আগে পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে।
উল্লেখ্য আমরা এই প্রজেক্টে কোনো লাভ করছি না – যে দামে কেনা হবে সেই দামেই বিক্রি করা হবে ইনশা’আল্লাহ। এই প্রজেক্টে সরোবরের কোনো ম্যানেজমেন্ট খরচও ধরা হবে না।
আমাদের এইবারের ফিতরা প্রজেক্ট শেষ হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ

ফরম টি পূরণ করুন/Fill-up the Form
যেভাবে অর্ডার করবেন / How to order
অর্ডার করতে পারেন সরাসরি আমাদের ওয়েবসাইটের ফরম পূরণের মাধ্যমে।
মেসেজ করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করে।
কল বা মেসেজ দিতে পারেন 01750180040 অথবা, 01861005555 – এই হোয়াটসএপে
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের নেক আমলগুলো কবুল করুন।
