ঈদুল আদহার দিনে আমাদের টেবিলে থাকে মাংসের কয়েকপদ। কিন্তু দেশের অনেক অঞ্চলে প্রামের মানুষদের ঘরে মাংসই থাকে না।
আমরা চেষ্টা করি—আপনার পক্ষ থেকে, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, সেই মানুষগুলোর ঘরেও ঈদের আনন্দ হিসেবে অল্প কিছু মাংস পৌঁছে দিতে।
সরোবর একটি লাভজনক সামাজিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আমরা ব্যবসার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই।
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সরোবর সারা বাংলাদেশের ১৭টি জেলা জুড়ে তৈরি করেছে বিশ্বস্ত লোকাল পার্টনারদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।
আপনার কুরবানীর মাংস আমরা তাদের মাধ্যমে পোঁছে দিই অভাবী কুরবানী না দিতে পারা প্রকৃত হকদারদের কাছে।
আমরা হৃদয় দিয়ে অনুভব করি তাদের ওই চাহনিতে থাকা আকুলতা। ছুটে যাই তাদের কাছে যাদের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই, কেউ হয়তো চায়, আবার চাইতে কারো অনেক জড়তা।
আমরা নিশ্চিত করি কোরবানির মাংসের সুষ্ঠু বন্টন। সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তাদের কষ্টের জীবনে খুশির অনুষঙ্গ
আপনাদের অংশগ্রহণ আর টিম সরোবরের অক্লান্ত পরিশ্রমে সরোবর অনেক মানুষের আস্থার জায়গায় পরিনত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
“আমি দেশের বাহিরে থাকায় এখানে কুরবানি করা অনেক কষ্টকর যার জন্য আমি এই দায়িত্ব বেশ কয়েকবছর ধরে বিশ্বাসের সাথে সরোবরকে দিয়ে থাকি ।সরোবর থেকে সঠিক সময়ে কুরবানি করে আমাকে জানিয়ে দেয় । সরোবর এর উদহিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে আমার কুরবানি সঠিকভাবে হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ।”
“সরোবরে উদহিয়া প্রজেক্টের সহজেই পেমেন্ট করা যায় সেজন্য আমার কুরবানির এক অংশ সরোবরের উদহিয়া প্রোজেক্টে দিয়ে থাকি।”
আমাদের সকলের উচিত সরোবরের সকল প্রজেক্ট এ অনুদান দেওয়া।আমি দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সরোবরের সাথে আছি। আলহামদুলিল্লাহ সকল প্রজেক্ট খুবি ভালো লাগে। আল্লাহ সরোবরকে উত্তম প্রতিদান দিক।
“উন্নত পরিষেবা ও কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে উদহিয়া প্রজেক্ট আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে,সেকারনে প্রতি বছর আমি সরোবর উদহিয়া প্রোজেক্টে অংশগ্রহন করে থাকি।”
” সরোবরের প্রোজেক্ট গুলোতে বিশ্বাস করে অনুদান দেওয়া যায় কারন আমার অনুদান কোথায় এবং কার কাছে যাচ্ছে সকল তথ্য সরোবর থেকে সময়মত মেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় ।”
“আমি সরোবরকে ধন্যবাদ জানাই তাদের উদ্যোগের জন্য। আমার বিশ্বাস, তারা যেভাবে গরু/ছাগল কিনে অভাবগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ করে, সেটা সত্যিই এক অসাধারণ কাজ। তাদেরকে টাকা দেওয়াটা আমি মনে করি একটি বিনিয়োগ। এভাবেই চলতে থাকুক সরোবর!”
“আমাদের দেশের এখনও অনেক প্রতন্ত্য অঞ্চলের মানুষ গোশত খেতে পায় না। আল্লাহ আমাকে সামর্থ দিয়েছে এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর। সরোবর এর উদহিয়া প্রোজেক্ট সেক্ষেত্রে ভালো একটি উদ্যোগ।”
“একজন ডাক্তার হিসেবে আমি মনে করি সকল শ্রেণির মানুষের আমিষের চাহিদা পূরন করা উচিত, সে হিসেবে সরোবরের উদহিয়া প্রোজেক্ট খুবি ভালো একটি উদ্যোগ।”
“সরোবরের কাজ দেখে আমার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে, প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এমন প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করা। আমরা যখন কুরবানির জন্য তাদের কাছে টাকা দেই, তখন তারা সেটা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করে গরিব/দরিদ্র ,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। এটি আমাদের ধর্মীয় এবং মানবিক দায়িত্ব পালন করতে সাহায্য করে।”
এক নজরে সকল প্রশ্নের উত্তর
উদহিয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে কুরবানি করা।
উদহিয়া হচ্ছে আমরা আপনার হয়ে গরু বা ছাগল কুরবানী করে এর গোশত অসহায় ও সুবিধা বঞ্ছিত ইমানদার,নামাযীদের মাঝে বিতরন করে থাকি।যাদের কুরবানী করার সামর্থ আছে শুধুমাত্র তারাই এর সাথে শরীক হতে পারেন।
জ্বী আপনি একটি আস্ত গরুর/ছাগলের টাকা দিতে পারবেন। ইসলামীক শরীয়াহ অনুযায়ী একটি গরুতে ৭টি ভাগে নাম দেওয়া যায় এবং একটি ছাগলের জন্য একজনের নাম দেওয়া যায়।আপনি আমাদের উদহিয়া প্রজেক্টে ৭টি ভাগ বা একটি আস্ত ছাগলের এর জন্য পেমেন্ট করে আপনি শরীক হতে পারেন।
দুঃখিত না,আপনার কুরবানী বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী হবে।যেহেতু ঈদ ৩দিন ধরে পালন করা যায়।
আপনার উদহিয়া আদায় হয়ে গেলে আমরা মেইল অথবা হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে জানিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ এবং আমাদের প্রোজেক্ট শেষ হয়ে গেলে মেইলে বা হোয়াটস্যাপে সকল তথ্য ও ছবি আপনার সাথে শেয়ার করে দেওয়া হবে।
সরোবর উদহিয়ার ভাগ সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বিতরণ করা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চল এর দিকের জেলাগুলতে উদহিয়ার ভাগ বিতরণ করা হয়ে থাকে।
উদহিয়া প্রজেক্টে অংশগ্রহণ এর জন্য ফর্ম ফিলাপ করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন বা আমাদের হোয়্যাটসঅ্যাাপ নাম্বার 01861005555 এই নাম্বারে মেসেজ করলে আপনাকে সকল নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হবে।
দুঃখিত না। আমরা আমাদের মূল্যবান অংশগ্রহনকারীদের কোনো ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশ করি না।
সরোবর একটি লাভজনক সামাজিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আমরা ব্যবসার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও সহায়তার মাধ্যমে আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করি।