OECD থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাংস খাওয়া দেশ। প্রতি বছর এদেশের একজন মানুষ গড়ে মাত্র ৩.৪ কেজি মাংস খান। কিন্তু এটা গড় পরিমাণ।
প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ভারত যা নিরামিশাষী অধ্যুষিত একটি দেশ – সেখানে মানুষ বছরে জনপ্রতি ৩ কেজি মাংস খেতে পারে। আফ্রিকার গরীব দেশ হিসেবে পরিচিত ইথিওপিয়া ৪.৫৪ কেজি মাংস খায়। ঋণভারে জর্জরিত পাকিস্তানেও প্রতি বছর গড় গোশত খাওয়ার পরিমাণ ১২.৭ কেজি ।
বাংলাদেশে মাংস খাওয়ার পরিমাণ এত কম কেন?
এর পেছনের কারণ হচ্ছে দারিদ্রতা এবং দ্রব্যমূল্যের উর্দ্বগতি।
মুসলিম প্রধান দেশ এবং প্রচুর গরু পালন সত্ত্বেও বাংলাদেশিরা বছরে গড়ে মাত্র ৯০০ গ্রাম গরুর মাংস খেতে পারেন।
আপনি আমি যারা এই লেখাটা পড়ছি তারা হয়তো মাসে এক-দু বার গরুর মাংস খেতে পারি কিন্তু গরীব মানুষদের জন্য মুরগির পা-চামড়া আর কম দামী মাছই হচ্ছে একমাত্র প্রাণীজ প্রোটিনের যোগানদাতা।
বাজারে যে আগুন দাম, খেয়ে বেঁচে থাকাটাই যেখানে দায়, সেখানে মাংস কিনে খাওয়াটাতো বিলাসিতা। আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা বছরে একবার মাংস খেতে পারে – শুধু ঈদুল আযহাতে!
আপনি কি চান না এমন মানুষেরা আপনার কুরবানির মাংস দিয়ে ঈদের দিনটাতে অন্তত গোশত-ভাত খাক?
সরোবরের “উদহিয়া প্রজেক্ট” এ কারণেই করা। বাংলাদেশের প্রায় ২৬টি জেলাতে আমাদের লোকাল পার্টনার আছেন যারা তাদের গ্রাম-ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষদের তালিকা করে। এই লোকাল পার্টনাররা কুরবানির ঈদের আগে গরু-ছাগল কিনবেন, যত্ন করে রাখবেন, খাওয়াবেন। ঈদের দিন সলাতের পরে পশুগুলো কুরবানি করবেন এবং ওই গরীব মানুষগুলোর মাঝে মাংসগুলো বিতরণ করে দেবেন।
কাদের কাছে গোশত গেল সেটা সরোবর আপনাদের ইমেইল করে জানিয়ে দেবে।
উল্লেখ্য এখানে ক্রেতাদের কাছে কোনো মাংস পৌঁছানো সম্ভব হয় না যেহেতু আমরা দেশের দুর্গম এলাকাগুলোতে – উত্তরবঙ্গের চর, নদীভাঙন এলাকা, পাহাড়ি অঞ্চল – এসব এলাকাতে পশুগুলো কুরবানি করি।
আপনি কি চাননা এমন মানুষেরা আপনার কুরবানির মাংস দিয়ে ঈদের দিনটাতে অন্তত গোশত-ভাত খাক?