গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ির আলুটিলা বটতলা, যেখানে ছিল না কোনো মসজিদ! কিন্তু ৮৮৪টি মুসলিম পরিবারের বসবাস সেখানে। এখন মসজিদ হয়েছে, আলহামদু লিল্লাহ।
সেখানকার মাদ্রাসায় ২৯ জন ছাত্র আছে হিফজখানায়! পবিত্র কুরআন মুখস্থ করছে ৮ জন। বাকিরা নাজেরা বিভাগে। নুরানিতে প্রায় ৬০ জনের মত। সব মিলেয়ে শিক্ষক রয়েছে ৪ জন।
সকলকে শীতবস্ত্র দিতে পারিনি! তালিকা করেছি খুব সতর্কতার সঙ্গে! তবুও কাকে রেখে কাকে দিবো! এর মাঝে বাদ পড়ে যায় দুইটি এতিম ছেলের নাম। তাদের ১ জন ৩ পারা মুখস্থ করেছে আলহামদুলিল্লাহ। তিলাওয়াত শুনে মুগ্ধ হলাম এবং তার পরিবারের বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নিজের কাছেই খুব কষ্ট লাগছিল।
১ বৎসর বয়সে বাবার এক এ্যাকসিডেন্টে মৃত্যু হয়! মা তার বাবার মৃত্যুর ৬ মাস পরেই নানীর কাছে রেখে বিয়ে করে এখন বরিশালে। সেই যে ১ বছর ৬ মাস বয়সে বাবা-মাকে দেখার যতটুকু সুযোগ ছিলো পরে তা আর তার হয়নি। বলতে বলতে কাঁদছিল!
৪ বৎসর পার না হতেই নানিকে চলে যেতে হয়েছে পরপারে! এ বাড়ি ঐ বাড়ি করতে করতে তার ঠাঁই হয়েছে মাদ্রাসায়। এই দুই বাচ্চার জন্য পরে শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করলাম।
মাদরাসা থেকে বের হতেই এলাকার কিছু বৃদ্ধ মা এসে সামনে হাজির। বলছে, “আমাদেরও শীত লাগে আর কষ্ট হয়! ছেলে পেলে নাই! যে, কিছু কিনে দিবে।”
তাদের মধ্য থেকে একজন মাকে প্রশ্ন করলাম যে, “আপনার ছেলে সন্তান কি করে?”
তিনি কেঁদে উঠে বলতে লাগলেন যে, “আমার থাকার বাড়ি ও জায়গাও বিক্রি করে ঢাকায় পাড়ি জমায়ছে!”
আপনাদের কিনে দেওয়া শাল এবং কম্বলগুলো এমন মানুষদের কাছেই পৌঁছে দিই আমরা। এখনও বিক্রি চলছে। অর্ডার করতে পারেন সরাসরি আমাদের ইনবক্স কিংবা ওয়েবসাইটে অর্ডারের মাধ্যমে।
কীভাবে কিনবেন এর বিস্তারিত কমেন্ট সেকশন দেয়া আছে। প্রয়োজন এ আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ইনবক্সে, 01861 00 55 55 বা 01750 180055 (হোয়্যাটস অ্যাপ), অথবা, info@shorobor.org মেইলে।
আরও জানতে ক্লিক করুনঃ Winter Donation 2025
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের ভালো কাজগুলো কবুল করুন।